1. wjoypurkantha@gmail.com : জয়পুর কণ্ঠ : জয়পুর কণ্ঠ
  2. info@www.joypurkantha.com : জয়পুর কণ্ঠ :
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

বিশেষ নিবন্ধঃ বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : সংগ্রাম ও প্রত্যাশা

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

এ্যাডভোকেট মোঃ শামছুল আলম সম্পাদক

আজ ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৮ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর উত্তম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল—স্বাধীনতার চেতনাকে সুসংহত করা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা করা, জাতীয়তাবাদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং জনগণের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান।

প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যেই বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জন করে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। দলটির নীতি ও কর্মসূচি ছিল গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। জিয়াউর রহমানের ‘গ্রামকে শহরে রূপান্তর’ করার উন্নয়ন দর্শন জনগণের কাছে দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা পায়।

সংগ্রামী পথচলা
বিএনপি’র যাত্রাপথ কখনো মসৃণ ছিল না। বিভিন্ন সময়ে দলটি দমন-পীড়ন, ষড়যন্ত্র ও বাধার মুখোমুখি হয়েছে। তবুও বিএনপি গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আপসহীন থেকেছে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন হোক বা একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম—সবক্ষেত্রেই বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

১৯৯১ সালে জনগণের ভোটে বিএনপি সরকার গঠন করে এবং দেশ সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে আসে। এ সময় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসন থেকে প্রধানমন্ত্রীশাসিত সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করা হয়, যা দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।

গণমানুষের প্রত্যাশা
দীর্ঘ ৪৭ বছরের ইতিহাসে বিএনপি শুধু রাজনৈতিক দল হিসেবেই নয়, একটি জাতীয় শক্তি হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে। দুঃসময়েও জনগণ এই দলকে তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গায় রেখেছে। বর্তমান সময়ে দেশ যখন নানা সংকটে নিপতিত—অর্থনৈতিক বৈষম্য, মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—তখন বিএনপি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার রয়েছে।

আজকের দিনে জনগণের প্রত্যাশা, বিএনপি অতীতের মতোই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সুশাসন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে শক্ত ভূমিকা রাখবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক চেতনা জাগ্রত করতে দলটির করণীয় অনেক। কারণ ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল শক্তিই তরুণ সমাজ।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তাৎপর্য
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুধু একটি রাজনৈতিক দলের জন্মদিন নয়, এটি একটি নতুন অঙ্গীকারের দিন। ৪৭ বছরের সংগ্রামী পথচলায় বিএনপি যেমন সাফল্যের ইতিহাস রচনা করেছে, তেমনি সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতার মুখোমুখিও হয়েছে। তাই এ দিনে আত্মসমালোচনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি’র ভূমিকা সব সময়ই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গণতান্ত্রিক চর্চা, বহুমতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি যে অবদান রেখে এসেছে তা ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে।

আগামীর আহ্বান
আজকের এই দিনে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতিজ্ঞা হোক—গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য লড়াই অব্যাহত থাকবে। দলটির আদর্শিক ভিত্তি আরও সুসংহত হবে এবং দেশকে একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার সংগ্রামে বিএনপি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

শুভ হোক বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ দিনটি হোক গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস, হোক নতুন সম্ভাবনার পথপ্রদর্শক।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিতঃ জয়পুর কণ্ঠ
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট