ছবিঃ সংগৃহীত
ফেসবুক থেকেঃ বুধবার, ৬ই আগস্ট, ২০২৫
গত সোমবার (৪ আগস্ট) ইঞ্জিনিয়ারি ইন্সটিটিউটে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত “ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা” শীর্ষক আলোচনা সভা এবং শহীদ পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সভাপতিত্বে যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সঞ্চালনায় করেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
স্বৈরাচারের পতন ও ইতিহাসে এ.টি.এম. শাহনেওয়াজ কবির ভিপি শুভ্র,র অবদান হিসাবে (সাবেক আহবায়ক, জয়পুরহাট জেলা যুবদল) তাকে সমম্মাননা প্রদান করা হয।
৫ই আগস্ট — ইতিহাসের পাতায় আজকের এই দিনটি এক অনন্য সংযোজন। দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরাচার, দমন–পীড়ন ও রক্তচক্ষুর পরিণতি ঘটেছে আজ। গণতন্ত্রহীনতার, বাক-স্বাধীনতার হত্যার, এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে দাসে পরিণত করার এক নির্মম অধ্যায় আজ শেষ হয়েছে।
এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না। এর পেছনে ছিল অসংখ্য সাহসী মানুষের আত্মত্যাগ, লড়াই ও আন্দোলন। মাটি থেকে উঠে আসা সংগ্রামী জনতার চেতনা,মানুষের রক্তে ভেজা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। এসবই গড়ে তুলেছে এই যুগান্তকারী পালাবদল।
তবে এই ইতিহাসে রচনার পেছনে অনেকের নাম উঠে আসে, তাদের মধ্যে একজন — এ.টি.এম. শাহনেওয়াজ কবির শুভ্র(সাবেক আহবায়ক,জয়পুরহাট জেলা যুবদল)। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন না, ছিলেন সময়ের দর্পণ। অন্যায় ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ, সচেতনতা গড়ে তোলার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নেতৃত্বগুণ আজ ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভিপি শুভ্র নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবাদ-প্রতিক্রিয়া। বহুবার তাকে দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়েছে, কারাবরণ করতে হয়েছে, কিন্তু কখনোই মাথা নত করেননি। তাঁর কণ্ঠে ছিল সাহস, হাতে ছিল পতাকার মত উঁচু আদর্শ।
আজ এই স্বৈরাচার পতনের দিনে তার অবদান স্মরণ করাটা শুধু প্রয়োজনই নয়, দায়িত্বও। কারণ ইতিহাস সৃষ্টি হয় যারা রক্ত দিয়ে, ঘাম দিয়ে, কিংবা নিঃস্বার্থ আদর্শ দিয়ে পথ দেখায় — এ.টি.এম. শাহনেওয়াজ কবির শুভ্র ছিলেন তেমনই একজন অগ্রসেনানী।
আজ যখন বাংলাদেশ একটি নতুন সূর্যোদয়ের পথে, তখন এই সংগ্রামীদের অবদান জাতিকে অনুপ্রাণিত করুক, ভবিষ্যতের পথচলায় দিকনির্দেশনা দিক।